বাংলাদেশ

অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে ইলিয়াস কাঞ্চন এক কর্মীকে কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ

  

চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন অস্ত্র নিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করার ঘটনায় একজন নিরাপত্তাকর্মীকে কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

ইলিয়াস কাঞ্চন গতকাল মঙ্গলবার তাঁর স‌ঙ্গে থাকা পিস্তল নিয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ঢোকেন। পরে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর অবশ্য ইলিয়াস কাঞ্চন অস্ত্র বহনের নিয়ম অনুসরণ করে তাঁর নির্ধারিত ফ্লাইটে উঠে চট্টগ্রামে পৌঁছান।

এ বিষয়ে আজ বুধবার বেবিচকের চেয়ারম্যান নাঈম হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার সময় দায়িত্বে ছিলেন ফজলার রহমান। তাঁকে কাজ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পরিচালক নূ‌রে আলম প্রথম আলোকে ব‌লেন, নিয়ম হ‌লো কেউ য‌দি পিস্তল নি‌য়ে ফ্লাইটে উঠতে চান, তাঁকে সে ঘোষণা দি‌তে হ‌বে। যে প্রতিষ্ঠানের প্লে‌নে তি‌নি চড়‌বেন, তা‌দের কা‌ছে থাকা নির্ধা‌রিত ফর‌মে তাঁকে সেটা লিখতে হ‌বে। তারপর পিস্তল থাক‌বে এক‌টি ব‌াক্সে এবং গু‌লি অন্য এক‌টি ব‌াক্সে। তালাবদ্ধ অবস্থায় পাইল‌টের তত্ত্বাবধানে থাক‌বে ওগুলো। অবতরণের পর তি‌নি (যাত্রী) তাঁর অস্ত্র ও গু‌লি ফেরত পারবেন। 

ইলিয়াস কাঞ্চ‌নের ক্ষে‌ত্রে কী ঘটেছে? জানতে চাইলে নূ‌রে আলম ব‌লেন, ‘আর্চওয়ে পে‌রো‌নোর সময় বা মেটাল ডি‌টেক্ট‌র ব্যবহা‌রের সময় নিরাপত্তারক্ষীরা ধারণা ক‌রেন ইলিয়াস কাঞ্চন কিছু একটা বহন কর‌ছেন। জিজ্ঞাসাবা‌দের পর তি‌নি পিস্তল ও গু‌লির কথা জানান। কী কার‌ণে ঘোষণা দেন‌নি, জান‌তে চাইলে ইলিয়াস কাঞ্চন ব‌লেন, তি‌নি ভু‌লে গি‌য়ে‌ছি‌লেন। প‌রে অবশ্য যে নিয়‌মে অস্ত্র বহন কর‌তে হয়, ইলিয়াস কাঞ্চন সে নিয়ম মে‌নেই তা ক‌রে‌ছেন এবং চট্টগ্রা‌মে পৌঁছে‌ছেন।’

ভেজালবিরোধী অভিযান চলবে: প্রধানমন্ত্রী       
 
 
 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্যের মান ফিরে না আসা পর্যন্ত ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজ বুধবার সংসদে সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, খাদ্যশস্যের উৎপাদন প্রতিবছরই ধারাবাহিকভাবেই বাড়ছে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে মোট খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। উৎপাদনশীলতার ধারবাহিকতায় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কুড়িগ্রাম-১ আসনের আছলাম হোসেন সওদাগরের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত। আমাদের দেশের জনগণ খরা, বন্যা, সাইক্লোনসহ নানা দুর্যোগের সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে থাকতে অভ্যস্ত।’ 
 মেহেরপুর-২ আসনের মোহাম্মদ সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা দরকার। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা সংসদকে সকল কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছি। সংসদের বিরোধী দলের সদস্যদের সমন্বয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিসহ বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছি।’
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের এম এ মতিনের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৯৩ শতাংশ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বাকি ৭ শতাংশ গ্রাহককে আগামী ২০১৯-২০ সালের মধ্যেই এ সুবিধার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

শাজাহান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছে। এ সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্পকারখানায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

3 comments:

  1. Self Improvement Online created SelfGrowth.com, the most complete guide to information about Self Improvement, Personal Growth and Self Help on the ...

    If you want more just look here "Best Beauty Shop"

    ReplyDelete
  2. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete