Wednesday, March 6, 2019

ইরাকে জিজ্ঞাসাবাদে শিশু নির্যাতন: এইচআরডব্লিউ



এইচআরডব্লিউ বলছে, শিশুদের ওপর জিজ্ঞাসাবাদের নামে ভয়াবহ নির্যাতন করে ইরাকি কর্তৃপক্ষ। ছবি: এএফপি
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইরাকি শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানোর বিষয়টিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া’ বলেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। আজ বুধবার এইচআরডব্লিউয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শিশুদের ‘খুবই ত্রুটিপূর্ণ’ প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের অধীনে বন্দী থাকা এবং আগে বন্দী ছিল—এমন ২৯ শিশুর সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ। একই সঙ্গে বিচারিক সূত্র, কারারক্ষী ও বন্দীদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা। ২০১৭ সালে আইএস প্রতিহত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় ইরাক। তবে এখনো অনেক নারী, পুরুষ, শিশু, এমনকি বিদেশি নাগরিককে আইএসের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত করছে তারা।
এইচআরডব্লিউ তার প্রতিবেদনে বলেছে, ইরাকি কর্তৃপক্ষ ও কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) সন্দেহভাজন শিশুদের বিষয়ে যেভাবে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে, তা খুবই ত্রুটিপূর্ণ। প্রায়ই নির্বিচারে আটক ও অন্যায় বিচার করা হয়। শিশুদের মারধর করা হয়। কথা আদায়ের জন্য ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। এমনকি আত্মীয়, আইনি প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয় না। নির্যাতনের চোটে জিহাদি দলে অংশগ্রহণ না করেও অনেকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে, দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে ক্যাম্প ও চেকপয়েন্ট থেকে অনেক শিশুকে আটক করা হয়।
কেআরজি পুলিশের হাতে বন্দী ১৪ বছরের এক শিশু বলে, ‘তারা আমার পুরো শরীরে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পেটায়। প্রথমেই তারা বলে, আমাকে স্বীকার করতে হবে আমি আইএসে ছিলাম। আমি বাধ্য হয়ে স্বীকার করি।’
এইচআরডব্লিউ যে শিশুদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগই জানায়, তারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দি আদালতে শিশুদের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। শুনানি ১০ মিনিটের বেশি হয় না। বেশির ভাগ সময় কুর্দি ভাষায় শুনানি হয়। আরবিভাষী ওই শিশুরা যার কিছুই বুঝতে পারে না। বিচার শেষে কেআরজি আদালত শিশুদের ছয় থেকে নয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে, ফেডারেল আদালতে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করে প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীদের মধ্যেই তাদের রাখা হয়। এমনকি ছাড়া পাওয়ার পরও এই গ্রেপ্তার–আতঙ্ক, নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পায় না তারা।
ফেডারেল কারাগারে থাকা ১৭ বছরের এক কিশোর বলে, ‘প্রতিদিনই যেন একটা নির্যাতন। তারা আমাদের প্রতিদিন মারত।’
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত আইএসে জড়িত সন্দেহে প্রায় দেড় হাজার শিশুকে অভিযুক্ত করেছে ইরাকি ও কুর্দি কর্তৃপক্ষ। অন্তত ১৮৫ জন বিদেশিসহ শত শত শিশু ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এইচআরডব্লিউ মনে করে, ইরাকের ফেডারেল ও কেআরজি সরকারের এই শিশু গ্রেপ্তার বন্ধ করা উচিত। যদি কেউ হিংস্র কোনো অপরাধে জড়িত থাকে, তখনই কেবল আইনের আওতায় তার বিচার করা উচিত।

1 comment:

  1. Shop our collection of men's adidas shoes for styles like NMD, Ultraboost & more. See all available styles and colors in the official adidas online store.
    if you want more just click here"best newspaper in bd"



    ReplyDelete