Wednesday, March 6, 2019

রিয়ালকে বাঁচাতে জিদানকেই চান পেরেজ!

গত মৌসুমে জিদানকে বিদায় বলতে বাধ্য হওয়া পেরেজ আবার ক্লাবে ফেরাতে চান কিংবদন্তিকে। ফাইল ছবি
২০১৫ সালে কোনো শিরোপা পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। সেবার সম্ভাব্য তিন শিরোপার সবগুলোই জিতে নিয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। তিন বছর বিরতি দিয়ে ঠিকই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার দশা। সম্ভাব্য তিন শিরোপার দৌড় থেকেই ছিটকে গেছে রিয়াল। অন্যদিকে আরেকটি ট্রেবল জয়ের আশা দেখছে বার্সেলোনা। কিন্তু ২০১৫ সালেও যা হয়নি, সেটা হচ্ছে এবার। রিয়ালের ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে এ মৌসুমকে। সে অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে জিদানকেই সমাধান মানছে তারা।
গতকাল আয়াক্সের কাছে ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে উড়ে গেছে রিয়াল। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধানটা ৫-৩। ব্যবধান যাই হোক। ২০০৯-১০ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো থেকেই ছিটকে গেছে রিয়াল। এ কারণেই ২০১৫ সালের হতাশাকেও পার করে দিয়েছে এ মৌসুম। বরাবর চ্যাম্পিয়নস লিগকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া এ ক্লাব সেবার অন্তত সেমিফাইনাল খেলেছিল। লিগেও শেষ দিকে পা হড়কানোর আগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল।
এবার ঘরোয়া দুই প্রতিযোগিতার আশা এ সপ্তাহেই শেষ হয়েছে। সে সঙ্গে কাল যোগ হয়েছে মহাদেশীয় হতাশা। ৭ দিনের মাঝে তিনটি প্রতিযোগিতা থেকে মার্চের শুরুতেই ছিটকে গেছে রিয়াল। স্প্যানিশ পরাশক্তির জন্য ভয়ংকর এক ব্যর্থতা এটি। এর পেছনে দুটি কারণ খুঁজে পাচ্ছে সবাই। মৌসুমের শুরুতে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিদায়ের পর গোল করার দায়িত্বটা অন্য কারও না নেওয়া। এবং নতুন কোচদের অধীনে দল হয়ে না উঠতে পারে। হ্যাঁ, নতুন কোচদেরই বলতে হচ্ছে। অনেক আলোচনা জন্ম দিয়ে, বিশ্বকাপের দায়িত্ব থেকে বাদ পড়ে রিয়ালের কোচ হওয়া হুলেন লোপেতেগি টিকেছিলেন মাত্র তিন মাস। এর ক্ষণস্থায়ী সমাধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া সান্তিয়াগো সোলারিও বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ ভার নেওয়া সম্ভব নয়। সবাই জিনেদিন জিদান নন।
২০১৬ সালে প্রায় একই পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্ব পেয়ে রিয়ালকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়েছেন জিদান। টানা তিন বছর সে ট্রফি নিজের দখলে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক রেকর্ড গড়েছেন। কিন্তু এ মৌসুমে রোনালদোর ক্লাব ছাড়া আটকাতে না পেরে নিজেই চলে গিয়েছেন। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি সেই জিদানের কাছে আবার দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে চায় তারা!
স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল লা সেক্সতার ফুটবল অনুষ্ঠান হুয়োনেসে দাবি করা হয়েছে রবিবার রিয়াল ভায়াদোলিদের ম্যাচের আগেই চাকরি হারাতে পারেন সোলারি। ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন, মৌসুমের শুরুতেই ক্লাব ছেড়ে যাওয়া জিদান যেন আবার ফিরে আসেন। এ মৌসুমে মোনাকো ও লিওনার্দো জার্ডিমের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, ঠিক তারই ভদ্রস্থ পুনরাবৃত্তি যেন। জার্ডিমকে অক্টোবরে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছিল মোনাকো। ক্লাব কিংবদন্তি থিয়েরি অরি দায়িত্ব নিয়ে ক্লাবকে আরও ডোবানোর পর সেই জার্ডিমকেই ফিরিয়ে এনেছে মোনাকো। জিদান নিজে থেকে চলে গিয়েছিলেন আর মাঝে একের বদলে দুজন কোচ ছাঁটাই হয়েছেন, পার্থক্য এখানেই।
হুয়োনেস আরও জানিয়েছে, জিদান নাকি পেরেজকে ফেরার ব্যাপারে ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন। তবে ছন্নছাড়া রিয়ালের এ মৌসুমে আর যোগ দিতে রাজি নন সাবেক কোচ। পরের মৌসুমে একদম নতুন করে শুরু করতে চান। তাঁকে রাজি করাতে দলবদলের ব্যাপারে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়ার কথাও নাকি বলেছেন পেরেজ। যে কারণে মতের মিল না থাকায় প্রথমবার ক্লাব ছেড়েছিলেন জিদান।

ইরাকে জিজ্ঞাসাবাদে শিশু নির্যাতন: এইচআরডব্লিউ



এইচআরডব্লিউ বলছে, শিশুদের ওপর জিজ্ঞাসাবাদের নামে ভয়াবহ নির্যাতন করে ইরাকি কর্তৃপক্ষ। ছবি: এএফপি
আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইরাকি শিশুদের ওপর নির্যাতন চালানোর বিষয়টিকে ‘ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়া’ বলেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। আজ বুধবার এইচআরডব্লিউয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই শিশুদের ‘খুবই ত্রুটিপূর্ণ’ প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। নির্যাতন করে তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।
কুর্দি আঞ্চলিক সরকারের অধীনে বন্দী থাকা এবং আগে বন্দী ছিল—এমন ২৯ শিশুর সঙ্গে কথা বলেছে এইচআরডব্লিউ। একই সঙ্গে বিচারিক সূত্র, কারারক্ষী ও বন্দীদের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে তারা। ২০১৭ সালে আইএস প্রতিহত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দেয় ইরাক। তবে এখনো অনেক নারী, পুরুষ, শিশু, এমনকি বিদেশি নাগরিককে আইএসের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযুক্ত করছে তারা।
এইচআরডব্লিউ তার প্রতিবেদনে বলেছে, ইরাকি কর্তৃপক্ষ ও কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার (কেআরজি) সন্দেহভাজন শিশুদের বিষয়ে যেভাবে তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদ করে, তা খুবই ত্রুটিপূর্ণ। প্রায়ই নির্বিচারে আটক ও অন্যায় বিচার করা হয়। শিশুদের মারধর করা হয়। কথা আদায়ের জন্য ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়। এমনকি আত্মীয়, আইনি প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলতে দেওয়া হয় না। নির্যাতনের চোটে জিহাদি দলে অংশগ্রহণ না করেও অনেকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে, দুর্বল প্রমাণের ভিত্তিতে ক্যাম্প ও চেকপয়েন্ট থেকে অনেক শিশুকে আটক করা হয়।
কেআরজি পুলিশের হাতে বন্দী ১৪ বছরের এক শিশু বলে, ‘তারা আমার পুরো শরীরে প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে পেটায়। প্রথমেই তারা বলে, আমাকে স্বীকার করতে হবে আমি আইএসে ছিলাম। আমি বাধ্য হয়ে স্বীকার করি।’
এইচআরডব্লিউ যে শিশুদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগই জানায়, তারা আইএসের হয়ে যুদ্ধ করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কুর্দি আদালতে শিশুদের পক্ষে কোনো আইনজীবী থাকে না। শুনানি ১০ মিনিটের বেশি হয় না। বেশির ভাগ সময় কুর্দি ভাষায় শুনানি হয়। আরবিভাষী ওই শিশুরা যার কিছুই বুঝতে পারে না। বিচার শেষে কেআরজি আদালত শিশুদের ছয় থেকে নয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অন্যদিকে, ফেডারেল আদালতে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মান লঙ্ঘন করে প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীদের মধ্যেই তাদের রাখা হয়। এমনকি ছাড়া পাওয়ার পরও এই গ্রেপ্তার–আতঙ্ক, নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পায় না তারা।
ফেডারেল কারাগারে থাকা ১৭ বছরের এক কিশোর বলে, ‘প্রতিদিনই যেন একটা নির্যাতন। তারা আমাদের প্রতিদিন মারত।’
এইচআরডব্লিউ বলছে, ২০১৮ সাল পর্যন্ত আইএসে জড়িত সন্দেহে প্রায় দেড় হাজার শিশুকে অভিযুক্ত করেছে ইরাকি ও কুর্দি কর্তৃপক্ষ। অন্তত ১৮৫ জন বিদেশিসহ শত শত শিশু ইতিমধ্যেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এইচআরডব্লিউ মনে করে, ইরাকের ফেডারেল ও কেআরজি সরকারের এই শিশু গ্রেপ্তার বন্ধ করা উচিত। যদি কেউ হিংস্র কোনো অপরাধে জড়িত থাকে, তখনই কেবল আইনের আওতায় তার বিচার করা উচিত।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস টাকা ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম: সুমী

শারমীন সুলতানা সুমী
শারমীন সুলতানা সুমীশারমীন সুলতানা সুমীচিরকুট ব্যান্ডের শিল্পী শারমীন সুলতানা সুমী। আনন্দ নিয়ে নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। খুলনার খালিশপুর থেকে একদিন প্রায় শূন্য হাতে এসেছিলেন ঢাকায়। তাঁর জীবনের গল্পটি, এসেছেন, দেখেছেন আর জয় করেছেন, তেমনটা নয়। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাঁকে। আজ তিনি অনেক নারীর প্রেরণা। ব্র্যান্ড ফোরাম অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা পুরস্কারসহ পেয়েছেন নানা সম্মাননা। চিরকুট পেয়েছে চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড,আরটিভি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড। ‘আহারে

জীবন’ গানের জন্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের জন্য চিরকুট পেয়েছে তিনটি মনোনয়ন। নারী দিবস উপলক্ষে এই শিল্পীর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক তাঁর সংগ্রামের গল্প।

যখন স্কুলে ছিলেন, তখন মনে হয়েছে শিল্পী হবেন বা ব্যান্ড গড়বেন?
আমাদের বাড়িতে গানের পরিবেশ ছিল। বিদ্যুৎ চলে গেলে আব্বা বলতেন, ‘সুমী, হারমোনিয়ামটা নিয়ে আয়।’ শুরু হয়ে যেত আড্ডা, গান। আব্বা নাটক করতেন। নানা বিষয় নিয়ে তাঁর পড়াশোনা ছিল। এ দেশে মেয়েরা কত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছে। আমি সারা জীবন খুব সাধারণ জীবন যাপন করেছি, এখনো করছি। মানুষ আমাকে চেনে খুব অল্প দিন হলো। আমি কখনো মাথায় রাখি না যে, কেউ আমাকে চেনে। আমার কাছে মনে হয়, সাধারণ থাকতে পারা খুব জরুরি। আবার ছেলেমেয়ে আলাদা, এই হিসাব মাথায় রেখে কাজ করি না। এই হিসেবে কখনো কারও সঙ্গে মিশিনি, কাজ করিনি। মানুষ হিসেবে কাজ করেছি। ছোটবেলায় আমার ভাই একবার বলেছিল, সবার আগে মানুষ হবি। আমার মাথায় সেটাই ছিল। তবে আমার ওপরে কোনো ঝড়ঝাপটা আসেনি, তা নয়। কিন্তু আমি সেসব পাত্তা দিইনি। সারা জীবন অভিযোগ না করার চেষ্টা করেছি। মনে হতো, সময় হোক। সময়ের জন্য অপেক্ষা করতাম। আমার কাছে সঠিক সময়টা খুব জরুরি। আমি আমার কাজটা ঠিক রাখতাম। আবার কখনো এমন হয়েছে, আমি একটা ভালো কাজ করেছি কিন্তু মূল্যায়ন পাইনি। সেটা নিয়েও কখনো অভিযোগ করিনি। কোথাও লিখে দিলাম বা কাউকে জানিয়ে দিলাম, এমন করতাম না। ধৈর্য আমার সব সময়ই ছিল।

শারমীন সুলতানা সুমী
 এই চর্চা বাড়িতেই ছিল?
বাসার সবাই এ রকম। সবচেয়ে ধৈর্যশীল ছিলেন আমার আব্বা। সবকিছুকে সহজভাবে নেওয়ার কাজ তাঁকেই সবচেয়ে বেশি করতে দেখেছি। দোষ না করেও দোষী হওয়ার ঘটনাগুলো স্বাভাবিকভাবে নিয়েছি। কেউ অন্যায় আচরণ করলে তার সঙ্গে ঠিক উল্টোটা করতাম। মনে হতো, কতক্ষণ শত্রুতা পুষে রাখবে! জীবনটা খুব ছোট। এই সময়ের মধ্যে যদি এর-ওর সঙ্গে শত্রুতা করে কাটাই, তাহলে তো হয় না। জীবনের মানে কিন্তু অনেক বড়। ঠিকমতো নিজের কাজগুলো করা জরুরি।

সমাজে মেয়েদের একটু বেশি ঝামেলায় পড়তে হয়। যাদের ধৈর্য কম, তারা কী করবে?
সমাজ মানুষই গড়ে। নিজের আত্মসম্মান ঠিক রেখে কেউ যদি কাজ করে যায়, তাহলে ঝামেলাগুলো ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে। এ জন্য কাজের পরিসর বড় করে ফেলতে হয়। আমি জানি মেয়েদের অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, কর্মক্ষেত্রে, বিভিন্ন জায়গায়। সমস্যা যে শুধু মেয়েদের হয়, তা নয়। ছেলেদেরও হয়। নিজেকে নিরাপদ রেখে যদি সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করা যায়, তাহলেই হয়ে যায়। সমাজটা যেহেতু এ রকম, মেয়েদের একটু সচেতন হলে ক্ষতি কী? আমি চাইলেই কাল সমাজটা বদলে দিতে পারছি না। সময় লাগবে। তত দিন নিরাপদ থাকতে হবে। আমি কোথাও গেলে একা বাসে উঠি না। যদি জানি, অমুক জায়গায় একা গেলে বিপদে পড়তে পারি, কাউকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছি।

শারমীন সুলতানা সুমী
শারমীন সুলতানা সুমী
দুই–একটা বিপদের কথা বলেন, যেগুলো সুন্দর করে সামলাতে পেরেছিলেন?
জীবনে যখনই কোনো সমস্যা এসেছে, সেটা আমার জন্য একটা সম্ভাবনা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই যেমন আমি এখন নিজেই গান লিখছি। ব্যান্ড করার পর কারও কাছে গান চাইলে আমাকে ঘোরাত। মেয়ে হওয়ার কারণে হয়তো ঘোরাতে ভালো লাগত তাদের। বলত, আসো চা খাই, আড্ডা দিই। তাদের সঙ্গে চা খেতে যেতে হবে! একটু ঢং করতে হবে? আমার এসব খুব অপছন্দ। মনে হলো, তাহলে নিজেই লিখি। একটা সময় সুর করার জন্য মানুষের হাত ধরতে হতো, পা ধরতে হতো। যখন দেখলাম দিতে চায় না, নিজেই চেষ্টা করলাম। ধারদেনা করে একটা গাড়ি কিনেছি। যেদিন থেকে ড্রাইভার পার্ট নেওয়া শুরু করল, আমি নিজেই চালানো শিখে নিলাম।

জীবনে তাহলে দুষ্টু লোকেরও দরকার আছে?
অবশ্যই, জীবনে দুষ্টু লোকের দরকার আছে। নয়তো শিক্ষা হবে না। কঠিন পথ কীভাবে পাড়ি দিতে হয়, জানা যাবে না।

কিন্তু ইউরোপ, আমেরিকা বা এশিয়ার অনেক দেশে মেয়েদের এটা চিন্তা করতে হয় না যে, আমাকে নিরাপদে চলাফেলা করতে হবে? সঙ্গে কাউকে নিয়ে বাসে উঠতে হবে?
হ্যাঁ, সেখানে সোসাইটি ও রকম। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এখন অনেক লিবারেল। আমাদের দেশের জন্ম বেশি দিন হয়নি। যেসব দেশের কথা বলছেন, তাদের বয়স অনেক, তাদের কালচার অনেক পুরোনো আর ওভাবেই গড়ে উঠেছে। আজ বাংলাদেশ সবকিছুতে লিবারেল হচ্ছে। পঞ্চাশ এক শ বছর পর আমদের অবস্থাও ওরকম হয়ে যাবে। আর যেটুকু খারাপের কথা বলছেন, ওটা সব দেশেই আছে। দিল্লিতে ধর্ষণ কম হয়? সেখানকার লোকেরাই বলে, ভাই, একা একা ওদিকে যেয়ো না। পশ্চিমা দেশগুলোতেও হয়। যেমন ট্রাফিক জ্যাম। আমি নিউইয়র্ক শহরেও জ্যাম দেখেছি, অবিশ্বাস্য।শারমীন সুলতানা সুমীশারমীন সুলতানা সুমী

নারী দিবসে কোনো অনুষ্ঠানে গান করছেন?
করছি, তবে সেটা নারী দিবসের অনুষ্ঠান না। আমি সেটা চাইনি। আমি নারী হিসেবে কখনো কোনো বাড়তি সুবিধা পেতে চাইনি। সব সময় চেয়েছি, সবাই আমাকে মানুষ হিসেবে দেখুক। যেখানে ছেলেদের ব্যান্ড যেতে পারবে, সেখানে আমাদের ব্যান্ডও যেতে পারবে। আমরা কম টাকায় শো করি না। অনেকে সম্মানী কমানোর জন্য অনুরোধ করে। আমরা নিজেদের একটা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করেছি। শো করলে তো লাভ, তবু ছাড় দিই না। বাংলাদেশের শিল্পীদের কোনো রয়্যালিটি নেই। অনুষ্ঠানের সম্মানীও যদি কম নিতে হয়, তাহলে তাদের চলবে কীভাবে?

আপনার একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা আছে। ক্যারিয়ারের শুরুটা ছোট্ট করে বলবেন?
বিজ্ঞাপনী সংস্থায় চাকরি দিয়ে আমার ক্যারিয়ারের শুরু। গ্রেতে ছিল আমার প্রথম চাকরি। দীর্ঘদিন সেখানে কাজ করেছি। অ্যাডকমে কাজ করেছি। বিবিসিতে কনসালট্যান্ট ছিলাম। সেই সাহস থেকেই ‘সল্ট ক্রিয়েটিভ’ নামে একটা কোম্পানি খুলেছি, অফিস নিয়েছি। দেখি কোনো ব্যাকআপ ছাড়া আমি পারি কি না। আমি মেয়েদের সব সময় বোঝাতে চাই, কোনো কিছুই অসম্ভব না। বিয়ে শেষ সমাধান নয়। আমার মা একটা সময় পর্যন্ত বলতেন, বিয়ে করে ফেল, বিয়ে করে ফেল। এখন অবশ্য বলেন না। আচ্ছা, বিয়ের পর কী হবে, সেটা আমরা জানি? আমাদের অফিসে যারা কাজ করছে, তারা আমার ছেলেমেয়ের মতো। আমি বিশ্বসংসারে বিশ্বাসী। নিজের জন্য আমি পরিস্থিতি তৈরি করে নিয়েছি। পরিস্থিতি কখনোই অনুকূলে থাকে না। কাজ, যোগ্যতা আর আত্মবিশ্বাস দিয়ে সেটা বানিয়ে নিতে হয়।

সেটা তারকা শারমীন সুলতানা সুমী পেরেছেন। সাধারণ সুমীরা পারবে?
সুমী তারকা হয়েছে দুদিন হলো। সব সুমী পারবে, যদি তারা নিজের কাজ ঠিক রাখে, পড়াশোনা করে, নিজের পায়ে দাঁড়ায়। নিজের কাজের গণ্ডি বাড়ানো এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া জরুরি। আমি কিন্তু কখনোই বাসা থেকে টাকা নিয়ে পড়িনি। বান্ধবীর কাছ থেকে টাকা ধার করে জেদ করে একা এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। আমার পরিবারের কেউ কখনোই খুলনার বাইরে আসেনি। খুঁজে খুঁজে পায়ে হেঁটে টিউশনি করতাম তিন-চারটা। পার্টটাইম জব করেছি, বাণিজ্যমেলায় চা বিক্রি করেছি। জিনিসগুলো এত সোজা না। আমি সব সময় মর্যাদার সঙ্গে কাজ করতাম। কোনো কাজকেই ছোট মনে করিনি। মেয়েদের আশপাশে নানা রকম ছেলে থাকে, নানা রকম চেষ্টা করে। আমার ব্যক্তিত্বটাই এমন ছিল যে, ওই ধরনের কথা বা কাজের সাহস পেত না কেউ।শারমীন সুলতানা সুমীশারমীন সুলতানা সুমী

এত কিছু করে গান করলেন কীভাবে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন একটা সাংস্কৃতিক সংগঠন করতাম। গানটা আমার জন্য ছিল শ্বাস নেওয়ার একটা জায়গা। যে কঠোর পরিশ্রম আমি করতাম, গান আমার সব ক্লান্তি ভাসিয়ে নিয়ে যেত। সব সময় মনে করতাম, আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে গান। গানটাই আমার বেঁচে থাকার জ্বালানি। আমি ভবিষ্যৎ দেখতে পেতাম। মনে হতো গান করতে গেলে এর-ওর কাছে যেতে হবে। তাহলে কী করা যায়? পরিবারের মতো একটা দল করে ফেলি। এক এক করে একসঙ্গে হলাম, আমি হলাম তাদের পরামর্শক। সব সময় বলতাম, আমাদের ইগো বাদ দিতে হবে, বিনয়ী থাকতে হবে, কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হবে।

আপনার ‘আহারে জীবন’ গানটাকে অনেকে বাংলার দুঃখী মেয়েদের জীবনসংগীত মনে করতে শুরু করেছে। আপনার জীবনসংগ্রামের নির্যাস আছে এই গানে?
সংগ্রাম না থাকলে মানুষের জীবনে উত্তরণ আসে না। আমার জীবনে সংগ্রাম ছিল, এখনো আছে। আমি যে গানই লিখি, ‘আহারে জীবন’, ‘কানামাছি’, ‘না বুঝি দুনিয়া’, এগুলো আমার অভিজ্ঞতার নির্যাস। খুব ভালো লাগে যখন আমার স্কুল-কলেজের বান্ধবীরা, যাদের অনেকগুলো সন্তান হয়ে গেছে, তাদের অনেকে বলে, ‘তোকে দেখে আমরা সাহস পাই। আমরা খুব ভালো নেই।’ আমাকে দেখে যদি কেউ সাহস পায়, এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি।

বিয়ে করতে চান?
বিয়ে করেছিলাম। অনেক দিন হলো বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছি। জীবনে যা ঘটুক, আমি মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। যে জীবনটা ছিল, সেটা সুন্দর ছিল। সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, মেনে নিয়ে এগিয়ে গেছি। এখন আমার কাজের জায়গাটা অনেক বড়। আমার অনেক কিছু করার আছে। সব সময় মাথায় রাখি, জীবন একটাই। সেই জীবনটা রেঁধে-বেড়ে-খেয়ে শেষ করে ফেললে হয় না। অনেক সম্ভাবনার জীবন আমাদের। সৃষ্টিকর্তা আমাদের ভেতর কিছু জিনিস দিয়ে পাঠিয়েছেন, কেন আমরা আরও দশটা মানুষকে অনুপ্রাণিত করব না। আমার এখানে যারা কাজ করে, সবাই নতুন। তাদের আমি কাজ শেখাচ্ছি। চাইলে অভিজ্ঞ কর্মী নিতে পারতাম। কিন্তু সব সময় নতুনদের শক্তিশালী করতে ভালো লাগে।শারমীন সুলতানা সুমীশারমীন সুলতানা সুমী

নারী ব্যান্ড লিডার হিসেবে আজ এই অবস্থানে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি?
অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু সমস্যাকে কখনো পাত্তা দিইনি। তবে আমার ব্যান্ড মেম্বাররা যদি আমাকে সাপোর্ট না দিত, সেটা এতটা সহজ হতো না। আমি একা কোনো দিন কিছু করতে পারতাম না। বিশেষভাবে আমি বলব পাভেল আর ইমনের কথা। ওরা আমার সঙ্গে যেভাবে ছিল, অনেক বড় সাপোর্ট। এখন নীরব অসম্ভব সাপোর্ট দেয়, দিদারও ছিল সব সময়। ওরা সব সময় আমাকে বোঝে, আগলে রাখে। সেটা না করলে হয়তো আমি আজ এখানে আসতে পারতাম না। তারপর আমার ভাই, আগের অফিসের সহকর্মীদের সাপোর্ট। ১০ জনের মধ্যে ২ জন কিন্তু নেগেটিভ আচরণ করতেই পারে। ১০ জনের উৎসাহের কথা না বলে যদি ২ জনের আচরণের কথা মনে রাখি, তাহলে হবে না। আমার ব্যান্ড মেম্বারদের নানাভাবে এটা-ওটা বোঝানো হতো। একটা মেয়ের সঙ্গে ব্যান্ড করছ…আমি সব সময় আমার ব্যান্ড মেম্বারদের বলি, ফোকাসড। কেউ কিছু বললে যদি ভেঙে পড়ি, তাহলে হবে না। মন খারাপ হবে। কিন্তু নিজেকে এমন জায়গায় নিতে হবে, মন খারাপ হলে হেসে ‍উড়িয়ে দিতে পারবে।
শারমীন সুলতানা সুমী
 রবীন্দ্রনাথ যে মারের সাগর পাড়ি দিতে বলেছেন, আপনারা সেটা কীভাবে দিচ্ছেন?
নিজের ভেতরে একটা বড় আকাশ তৈরি করে নিতে হয়। তাহলে ইচ্ছেমতো বিচরণ করা যায়। একটা বিশাল আকাশে একটা ছোট বিমান উড়ে গেলে সেটাকে আলাদা কিছু মনে হয় না। সেই আকাশে রোদ ওঠাতে হয়, মেঘ জমলে সরিয়ে দিতে হবে। সিম্পল। বড় ছবিটা দেখতে জানতে হয়। মানুষ হিসেবে আমার যে কী করার ক্ষমতা আছে, সেটা যদি কেউ বুঝতে পারে, তাহলে দুঃখ-রাগ-ক্ষোভ-অভিমান ছোট হয়ে যায়। আমি আসলে অনেক শক্ত হয়ে গেছি।শারমীন সুলতানা সুমীশারমীন সুলতানা সুমী

তরুণেরা দেখার সেই চোখ কীভাবে তৈরি করবে?
যে যা পারে, সেটা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমার কাছে অনেক প্রস্তাব আসে—অভিনয়ের, উপস্থাপনার। আমি কখনোই এসব করার কথা ভাবিনি। আমার লক্ষ্য ঠিক ছিল সব সময়, আমি গান করব। এত কিছু করে আমার বিখ্যাত হওয়ার দরকার নেই। বিজ্ঞাপনের বাজারে আমার ভালো ভালো কাজ আছে, অনেকে জানেও না। সেসব নিয়ে কখনো কাউকে বলিনি, বড়াই করিনি। আমাদের গানগুলো কিন্তু আমার লেখা হিসেবে মানুষ জানে না। সবাই জানে, গানগুলো চিরকুটের। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। অনেকেই খোঁচাখুঁচি করতে চেষ্টা করবে, আত্মবিশ্বাস ভাঙতে চাইবে। বোঝাতে চাইবে যে, তুমি আসলে কিছু না, তোমাকে দিয়ে হবে না। তাতে কী? ক্ষমাশীল হতে হবে। ক্ষুদ্রতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যদি কারও ক্ষতি করার চিন্তা করা হয়, শেষ। যদি শত্রুর বন্ধু হয়ে যাওয়া যায়, তাহলে একসময় সে-ই লজ্জা পাবে।

জনপ্রতিনিধি হলে কী করবেন?
আমার আগ্রহ নেই। যদি বদলাতে হয়, গানে গানেই আমি পৃথিবী বদলাব। শিশুদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে। প্ল্যান করছি।

বড় বিনিয়োগ নিয়ে আসছেন সৌদি ব্যবসায়ীরা



সৌদি আরবের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল আজ বুধবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে আসছে। তাদের কাছ থেকে ১৬টি প্রকল্পে দড় থেকে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।




বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সৌদি আরবের বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী মাজেদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি, অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আলতোয়াজরির নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সদস্যরা থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে সংলাপে বসবে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে যে ১৬টি প্রকল্প নিয়ে কথা চলছে, তার মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে চুক্তি সই হবে। কয়েকটির ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক সই হবে। কয়েকটি প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি তাদেরও আগ্রহের কয়েকটি ক্ষেত্র রয়েছে। তিনি বলেন, এসব প্রকল্পে মোট দেড় থেকে দুই হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ আশা করা যায়। তবে পরিমাণ এখনই বলা সম্ভব নয়।
কাজী আমিনুল ইসলাম বলেন, লালমনিরহাটে উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের একটি প্রকল্পের চুক্তি হতে পারে। ফেনীতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারে সৌদিরা। বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের একটি কারখানা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল (আরামকো) বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার ও তেলভিত্তিক পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ করতে পারে। গোলাম মসিহ বলেন, ৪৮ বছরে এই প্রথম সৌদি কোনো বড় বিনিয়োগকারী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসছে। এর আগে বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ ছিল না। শুধু ৩০ বছর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে শেয়ার নিয়েছিল তারা। এবার বিনিয়োগে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দফা সৌদি আরব সফরের কারণে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব এত দিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বিনিয়োগ করত। এখন তারা এই অঞ্চলে নজর দিচ্ছে। কারণ, এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের প্রবৃদ্ধি অনেকটা স্থবির। সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও উল্লেখ করেন গোলাম মসিহ।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তান সফর করেন। সফরে ভারতে তিনি দুই হাজার কোটি ও পাকিস্তানে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন।

৩ দশকে ৮১ সরকারি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে


জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

সরকারি দলের দিদারুল আলমের এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন ৩০টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৯টি, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীন ৫টি এবং মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন ৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ২০টি এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রয়াত্ত প্রতিষ্ঠানের সরকারি শেয়ার হস্তান্তরের মাধ্যমে ৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারি করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৬ সালে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন ও বিনিয়োগ বোর্ডকে এক করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাইভেটাইজেশন কমিশন বিলুপ্ত হয়। প্রাইভেটাইজেশন কমিশন গঠন হয়েছিল ১৯৯৩ সালে।

মশিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশে সমবায় অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত সমবায় সমিতির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫৩৫টি। এসব সমিতির মাধ্যমে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭০ জন লোকের বা পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নিবন্ধিত সমিতির মধ্যে ২৩ হাজার ১১৮টি সমিতি ঋণদান কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত।

প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল সাড়ে চারটায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।